সিদ্ধার্থ সিং রাঠোর রাজস্থানের চুরুতে একটি বৃহৎ যৌথ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর জন্ম আনন্দ এবং উদযাপনের কারণ ছিল, কিন্তু তিনি বড় হওয়ার সাথে সাথে তাঁর পরিবার লক্ষ্য করলেন যে তাঁর সেরিব্রাল প্যালসি রয়েছে। তাঁর দুটি পা আড়াআড়ি হয়ে গেছে, যার ফলে তিনি অস্থির হয়ে পড়েছেন এবং তিনি মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী।
সিদ্ধার্থের পরিবার যখন বুঝতে পেরেছিল যে তাদের প্রিয় ছেলেটির এত মারাত্মক বিকৃতি রয়েছে তখন তারা হতাশ হয়ে পড়েছিল। তারা তার চিকিৎসার জন্য যা কিছু করার ছিল তা খুঁজে বের করার জন্য তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। তারা অনেক হাসপাতালে গিয়েছিল, কিন্তু প্রতিবারই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছিল কারণ অস্ত্রোপচারের খরচ তাদের আর্থিক সামর্থ্যের বাইরে ছিল। দশ সদস্যের পরিবারের মধ্যে সিদ্ধার্থের কাকা ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী, এবং তার সামান্য আয় তার ভাগ্নের চিকিৎসার খরচ মেটাতে যথেষ্ট ছিল না।
কিন্তু একদিন, প্রতিষ্ঠানে তার অস্ত্রোপচার করা এক প্রতিবেশী তাদের নারায়ণ সেবা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানায়, যা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে পরিষেবা প্রদান করে। নতুন আশা নিয়ে, সিদ্ধার্থের বাবা-মা তাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান, যেখানে তার ডান পায়ের প্রথম সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
অপারেশনের সাফল্যে পরিবারটি আনন্দিত হয়েছিল। তারা সিদ্ধার্থের চিকিৎসার আশা হারিয়ে ফেলেছিল এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত ছিল। তবে, প্রতিষ্ঠানের বিনামূল্যের পরিষেবা তাদের আশার আলো দেখিয়েছিল যে সিদ্ধার্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। পরবর্তী অপারেশন আগামী মাসে নির্ধারিত হয়েছে, এবং পরিবার আশাবাদী যে এটি সিদ্ধার্থের জীবন বদলে দেবে এবং তাকে একজন সাধারণ শিশুর মতো জীবনযাপন করতে সক্ষম করবে।