জন্মের ৩ বছর পর, হঠাৎ স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে চিকিৎসার সময় ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে সে পোলিওর শিকার হয়।
রাজস্থানের সিকার জেলার দাতারামগড়ের বাসিন্দা রাজু-সন্তোষ কুমাওয়াতের মেয়ে নন্দিনীর বয়স এখন ১১ বছর। বাম পা হাঁটু এবং পায়ের আঙুল থেকে বাঁকা হয়ে যায়। পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে মেয়েটি আর চিকিৎসা নিতে পারেনি। বাবা রাজু টাইলস বিছানোর কাজ করে পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন। মেয়েকে খোঁড়া অবস্থায় দেখে পরিবারটিও বিরক্ত বোধ করত। নন্দিনীর স্কুলে যেতেও সমস্যা হত।
এদিকে, টিভিতে নারায়ণ সেবা প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে পোলিও চিকিৎসার কথা জানতে পেরে বাবা তাৎক্ষণিকভাবে ২০২৩ সালের ২২ মার্চ তার মেয়েকে উদয়পুর ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। ইনস্টিটিউটে বাম পা পরীক্ষা করার পর, যথাক্রমে ২৫ মার্চ এবং ১১ আগস্ট দুটি অপারেশন করা হয়। প্রায় ১৩ বার দেখা করার পর, নন্দিনী এখন কেবল নিজের পায়ে দাঁড়াতেই পারছে না, হাঁটতে ও দৌড়াতেও পারছে। মেয়েকে সহজে হাঁটতে দেখে পরিবার খুশি।