উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর জেলার কুদওয়ান গ্রামের বাসিন্দা কৃপারাম গুপ্ত এবং তার পরিবার খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল যখন তাদের ছেলের জন্ম হয়েছিল ছয় বছর আগে বাঁকা এবং বাঁকা পায়ের আঙ্গুল নিয়ে। বেশ কয়েকজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরেও, কেউই কোনও সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা বা সমাধান দিতে পারেনি।
একদিন, কৃপারামের এক আত্মীয় তাকে উদয়পুর-ভিত্তিক নারায়ণ সেবা সংস্থা সম্পর্কে জানান, যা শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে বিশেষ চিকিৎসা এবং পরিষেবা প্রদান করে। কৃপারাম তাৎক্ষণিকভাবে তার ছেলে অঙ্কিতকে নিয়ে উদয়পুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
নারায়ণ সেবা সংস্থায় হাসপাতালে পৌঁছানোর পর, ডাক্তাররা অঙ্কিতের পা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে অস্ত্রোপচারের সুপারিশ করেন। তার বাম পায়ের প্রথম অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয় এবং এক মাস পরে, তার ডান পায়ের দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার করা হয়। উভয় অস্ত্রোপচারের পর, অঙ্কিত ৫ থেকে ৭ বার নারায়ণ সেবা সংস্থায় যান এবং বিশেষ বুটের সাহায্যে তার পায়ের গঠনে ধীরে ধীরে উন্নতি দেখা যায়। পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন, নারায়ণ সেবা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ এবং ফিজিওথেরাপিস্টরা অঙ্কিতের পায়ের পরিবর্তনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন।
প্রায় আট মাস কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের পর, অবশেষে সেই দিনটি এলো যখন অঙ্কিত তার পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হল। কৃপারমের চোখে আনন্দের অশ্রু ভরে উঠল। অঙ্কিতের মুখে এক নতুন আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি ফুটে উঠল, এবং তার পা আরও শক্তিশালী এবং সোজা হয়ে উঠল।
পরিবার নারায়ণ সেবা প্রতিষ্ঠানের ডাক্তার এবং দাতাদের ধন্যবাদ জানায়, যাদের প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠা তাদের ছেলেকে নতুন জীবন দিয়েছে। তারা বলেছে যে নারায়ণ সেবা প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা অঙ্কিতকে কেবল হাঁটার ক্ষমতাই দেয়নি, বরং তার স্বপ্ন পূরণের শক্তিও দিয়েছে।