সাফল্যের গল্প: আহমেদ রাজা

যখন আমার সন্তান আহমেদ রাজা আজমীর হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে, তখন প্রথম দেখাতেই আমার হৃদয় কেঁপে ওঠে। আমরা ভাবতাম, আমরা এটা কিভাবে সামলাবো, আমরা এটা সামলাবো না, আমরা অনেক কেঁদেছিলাম, পুরো এক মাস ধরে। তার জন্ম হাত ছাড়া এবং তার দুটি পা বাঁকা ছিল। তারপর আমরা তাকে ভিলওয়ারার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই যেখানে ডাক্তার বলেন, আমরা তোমার সন্তানের জন্য কিছুই করতে পারব না। আমরা নারায়ণ সেবা সংস্থায় গিয়েছিলাম যেখানে আমরা অনেক শিশুকে দেখেছি যারা হাঁটতে পারছে না। আমরা দেখেছি যে আমাদের সন্তানই একমাত্র নয় যে হাঁটতে অক্ষম এবং হাত-পা বঞ্চিত; বরং আরও অনেক শিশু আছে যারা এত কষ্ট পাচ্ছে এবং অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তারপর আমাদের ছেলের সেখানে চিকিৎসা করা হয়েছিল এবং আজ সে ঠিকমতো হাঁটছে।

একটা সময় ছিল যখন আমার ছেলে কোনও স্কুলে ভর্তি হচ্ছিল না। আমরা যখন আমাদের টেলিভিশন চালু করি, তখন অভিনেতা সালমান খানের একটি গান বাজছিল, আমরা কখনও ভাবিনি যে সে এভাবে পারফর্ম করতে পারবে। সে নিজে নিজে নড়াচড়া করতে শুরু করে। তারপর আমরা ভাবলাম, কেন তাকে কোনও অনুষ্ঠানে রাখা হবে না? আমরা শুধু এইটুকুই ভাবছিলাম এবং ফেসবুকে ইনস্টিটিউটের দিব্যাঙ্গ প্রতিভা প্রদর্শনী দেখলাম। তারপর আমরা প্রশান্ত আগরওয়ালের সাথে দেখা করলাম যিনি আমাদের সুযোগ করে দিলেন এবং আমাদের ছেলে যেভাবে সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এই ঘটনা দেখে আমার চোখে জল এসে গেল। যারা আমার সন্তানের অক্ষমতা নিয়ে আমাকে তিরস্কার করত, তারা আজ আমার ছেলের সাথে সেলফি তুলতে আগ্রহী। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমার ছেলে একদিন আমাকে গর্বিত করবে। আর আজ আমার ছেলে সর্বত্র তার দক্ষতা প্রদর্শন করছে এবং আমাকে সবচেয়ে খুশি করছে। আমি নারায়ণ সেবা সংস্থানের কাছে কৃতজ্ঞ যে আমার সন্তানকে সাহায্য করেছে এবং উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য দুর্দান্ত সুযোগ দিয়েছে।