১০ বছর বয়সী আব্দুল কাদির মধ্যপ্রদেশের রতলামের বাসিন্দা এবং পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে। কয়েক বছর আগে তার একটি অত্যন্ত গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটে। জ্ঞান ফিরে আসার পর সে দেখতে পায় যে দুর্ঘটনায় তার দুটি হাতই হারিয়ে গেছে, কিন্তু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে তার জীবন রক্ষা পেয়েছে। এই দুর্ঘটনায় সে হতাশ হয় নি। কিছুক্ষণ পর সে একজন কোচের কাছ থেকে সাঁতার শেখা শুরু করে। কঠোর পরিশ্রম করে সে প্যারা অলিম্পিক খেলতে সক্ষম হয়। সে সাঁতারে অনেক স্বর্ণ ও রৌপ্য পদকও জিতেছে। আব্দুল রাজস্থানের উদয়পুরে নারায়ণ সেবা সংস্থা আয়োজিত ২১তম জাতীয় প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করে। যেখানে ২৩টি রাজ্যের ৪০০ জনেরও বেশি দিব্যাঙ্গ অংশগ্রহণ করে পদক অর্জন করে। নারায়ণ সেবা সংস্থা কর্তৃক এই বিশেষ সুযোগ এবং পুরস্কার পেয়ে সে খুবই খুশি। এই সংস্থার মাধ্যমে সে তার মতো প্রতিভাবান শিশু এবং প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের একটি বার্তা দিতে চায় যে জীবনে কখনও হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তবে উৎসাহের সাথে তার মুখোমুখি হওয়া উচিত, তবেই সাফল্য আসে। নারায়ণ সেবা সংস্থান এবং সমগ্র বিশ্ব এই অনুপ্রেরণাদায়ক দিব্যাঙ্গ সাঁতারুকে সম্মান করে।