সনাতন ধর্মে একাদশী তিথির একটি বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই সমস্ত একাদশীগুলির মধ্যে কামিকা একাদশী অত্যন্ত পুণ্যকারী এবং মনোকামনা পূর্ণকারী হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। “কামিকা” শব্দটির অর্থ হল—যে দিব্য শক্তি মানুষের মনোকামনা পূর্ণ করে। এই দিনটি উপবাস এবং ব্রত পালন করলে একজন ব্যক্তির জন্মজন্মান্তরের পাপ দূর হয় এবং তার আত্মা পরম শান্তি এবং মোক্ষের দিকে অগ্রসর হয়।
কামিকা একাদশীর পুরাণিক কাহিনী এবং গুরুত্ব
ধার্মিক গ্রন্থগুলির মতে, কামিকা একাদশী পালন করলে ব্যক্তির সমস্ত পাপ ধুয়ে যায় এবং তিনি ঈশ্বরের কৃপা লাভ করেন। পদ্ম পুরাণে এই ব্রতের বিশেষ মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে, যে, এই ব্রতের পুণ্য ফল গঙ্গাস্নান, তীর্থযাত্রা, যজ্ঞ এবং দান ইত্যাদি সমস্ত পুণ্য কর্মের থেকেও শ্রেষ্ঠ।
ভগবান বিষ্ণুর প্রতি শ্রদ্ধা, ভক্তি এবং সেবায় পূর্ণ এই একাদশী ব্রত পাপ, দুঃখ, দরিদ্রতা এবং ভয় দূর করে। এই দিনে ব্রত, জপ, ধ্যান এবং সেবা দ্বারা একজন ব্যক্তি আধ্যাত্মিক উজ্জীবন লাভ করে এবং তার হৃদয়ে দয়া, করুণা এবং সহানুভূতির সঞ্চার হয়।
দান এবং সেবার গুরুত্ব
কামিকা একাদশী শুধুমাত্র ব্রত এবং উপবাসের জন্য নয়, এটি একটি বিশেষ দিন দান এবং সেবা করারও। এই দিনে করা দানের পুণ্য হাজার যজ্ঞের সমান। কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে:
“স্বর্গ, দীর্ঘায়ু এবং ঐশ্বর্য চাহিদার জন্য এবং পাপ দূরীকরণ এবং মোক্ষ প্রাপ্তির ইচ্ছা নিয়ে ব্যক্তিরা ব্রাহ্মণদের এবং প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের পূর্ণ দান করবেন।”
কামিকা একাদশী তিথিতে দান-পুণ্য
কামিকা একাদশী তিথিতে অসহায়, দুঃস্থ, দুঃস্থ শিশুদের অন্ন এবং খাবার দান করলে অক্ষয় পুণ্যের ফল লাভ হয়। নারায়ণ সেবা সংস্থার দুঃস্থ শিশুদের আজীবন খাবার (বছরে এক দিন) দেওয়ার সেবা প্রকল্পে অংশগ্রহণ করুন এবং এই পবিত্র তিথিতে সর্বোত্তম পুণ্য লাভ করুন।