অমাবস্যা
আষাঢ় অমাবস্যা হিন্দু ধর্মে একটি অত্যন্ত পুণ্যদায়ক এবং আধ্যাত্মিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। এই দিনটি পিতৃশান্তি, আত্মকল্যাণ এবং সৎকর্মের জন্য নিবেদিত। শাস্ত্রের মধ্যে বলা হয়েছে যে, অমাবস্যা তিথিতে স্নান, ধ্যান, জপ, পিতৃ তৰ্পণ এবং দান করলে জীবনে সুখ, শান্তি এবং পিতৃবর্গের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
এই বছরের আষাঢ় অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এটি বর্ষাকালের শুরুতে আসে। এই সময়ে পরিবেশে শুদ্ধতা, আর্দ্রতা এবং প্রকৃতিতে নতুন জীবন সঞ্চারিত হয়। এমন সময়ে সেবা, দান এবং তপস্যা দ্বারা মন এবং আত্মারও শুদ্ধিকরণ ঘটে। এটি সেই আত্মাগুলির জন্য বিশেষ ফলদায়ক, যারা বিধিপূর্বক শ্রাদ্ধ বা তৰ্পণ করতে পারেনি।
আষাঢ় অমাবস্যার গুরুত্ব
এই দিনটি সংযম, সেবা এবং আত্মচিন্তা করার প্রতীক। এই দিনে গঙ্গাস্নান, পিতৃ তৰ্পণ, মৌনধারণ, ধ্যান এবং প্রয়োজনীয়দের সেবা করা বিশেষ পুণ্যদায়ক মনে করা হয়। পুরাণে বলা হয়েছে যে, এই দিনটি দান করলে বাড়ি-পরিবারে সমৃদ্ধি, ভারসাম্য এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হয়।
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় দানের গুরুত্ব
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বলা হয়েছে:
দানব্যমিতি যদ্দানং দীয়তে‘নুপকারিণে |
দেশে কালে চ পাত্রে চ তদ্দানং সত্ত্বিকং স্মৃতম্॥
অর্থাৎ, যেই দান কোনও স্বার্থ ছাড়াই, সঠিক সময় এবং উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদান করা হয়, সেটিই সত্ত্বিক দান হিসেবে বিবেচিত হয়।
দিৱ্যাংগ এবং প্রয়োজনীয়দের খাবার দিন
আষাঢ় অমাবস্যার পবিত্র দিনে দীন-দরিদ্র, দিৱ্যাংগ এবং অসহায় ব্যক্তিদের খাবার প্রদান করা পিতৃ আত্মাদের শান্তি এবং ঈশ্বরের কৃপা লাভের শ্রেষ্ঠ উপায়। এই পবিত্র দিনে নায়ারণ সেবা প্রতিষ্ঠানের দিৱ্যাংগ, অসহায় এবং অনাথ শিশুদের আজীবন খাবার (প্রতি বছর একদিন) দেওয়ার সেবা প্রকল্পে অংশগ্রহণ করুন এবং পুণ্যের ভাগী হন।
আপনার দেওয়া দানে দিৱ্যাংগ শিশুদের খাবার দেওয়া হবে।