সনাতন ধর্মের পুণ্যময় ঐতিহ্যে, খরমাস, যা মলমাস নামেও পরিচিত, ঈশ্বরের উপাসনার জন্য একটি পবিত্র মাস হিসাবে বিবেচিত হয়। এই বছর, এই পবিত্র সময়টি ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ থেকে ১৪ জানুয়ারী, ২০২৬ পর্যন্ত। এই সময়টি ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা, তপস্যা, ধ্যান এবং দানের জন্য নিবেদিত। শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে এই সময়ে শুভ ঘটনাগুলি স্থগিত রাখা হয়, অন্যদিকে আধ্যাত্মিক উপাসনা এবং সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
খরমাস প্রকৃতপক্ষে পবিত্রতা, সংযম এবং করুণার মাস। এই সময়কালে সম্পাদিত পুণ্যকর্ম কেবল একজন ব্যক্তির জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনে না, বরং তার আত্মাকে পবিত্র ও আলোকিত করে। বেদ ও পুরাণে বলা হয়েছে যে এই সময়কালে, দরিদ্র, অসহায় এবং নিঃস্বদের দান করা ব্রাহ্মণদের জন্য চূড়ান্ত কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়। খরমাসে বিশুদ্ধ উদ্দেশ্য নিয়ে দান করা হল ভগবান বিষ্ণু এবং সূর্যদেবের চিরন্তন আশীর্বাদ পাওয়ার সর্বোত্তম উপায়।

সূর্য ধনু বা মীন রাশিতে অবস্থান করলে বছরে দুবার খরমাস হয়। এবার ১৬ ডিসেম্বর সূর্যদেব ধনু রাশিতে প্রবেশ করবেন, যা খরমাসের সূচনা। ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে সূর্যদেব মকর রাশিতে প্রবেশ করবেন, যা খরমাসের সমাপ্তি। এই সময়কালে, সূর্যদেব এবং ভগবান বিষ্ণুর উপাসনা জীবনের সকল ক্ষেত্রে অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। যাদের কুণ্ডলীতে দুর্বল সূর্য অবস্থান, তারা এই মাসে করা দান, আচার-অনুষ্ঠান এবং সূর্যপূজা থেকে বিশেষ সুবিধা লাভ করেন।
ধর্মীয় গ্রন্থে বলা হয়েছে যে খরমাসে করা দান অক্ষয় এবং এর ফল বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ব্রাহ্মণ, দরিদ্র, অসহায় এবং অভাবী শিশুদের খাওয়ানো বা যেকোনো ধরণের সহায়তা প্রদান করা এই সময়ে অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত হয়। এই ধরনের দান কেবল একজন ব্যক্তির জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের দ্বার উন্মুক্ত করে না, বরং তাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করে।
খরমাসে দরিদ্র, নিঃস্ব এবং অভাবী শিশুদের খাওয়াতে সহায়তা করুন।
আপনার দান দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী শিশুদের খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার করা হবে।